Saturday, January 22, 2022

ভালো থাকবেন সুভাষ ভৌমিক

2004 সাল। একটা বিষণ্ন রবিবার বিকেলে। এক অকুন্ঠ মোহনবাগান সমর্থক ছেলে বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে আসিয়ান কাপ ফাইনাল দেখতে বসেছিল। ছেলেটার জন্মের পর এই প্রথম কোনো ভারতীয় দল কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা র ফাইনাল খেলছিল।অনেকের মত সে ও ভেবেছিল সেই "ভালো খেলাইয়া পরাজিত" ছাড়া অন্য কোনো তকমা জুটবে না এই দলের কপালে কারণ বিপক্ষে গত এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এর ফাইনালিস্ট বেক তেরো সসানা এশিয়া র অন্যতম সেরা ফুটবলার চাইমান। পরবর্তী 90 মিনিট ছেলেটা বিস্মিত, অবাক এবং শিহরিত হয়ে গেল অনবদ্য takticks, আর আক্রমনের ছটায়। কোনো এক অনামি ষষ্টি দুলে কে দিয়ে চাইমান কে বোতল বন্দী করে অনবদ্য স্ট্র্যাটেজিক মুভ দিয়ে ট্রফি জিতলেন এক কোচ.... সুভাষ ভৌমিক।

   বাঙালির একটা সমস্যা সে বড় বেশি নস্টালজিক। কোচ হিসেবে তাই সুভাষ তেমন দাম পেলেন না। কিন্ত তার কোচ হিসেবে অবদান যে কোনো তথাকথিত "এ" লাইসেন্সধারী কোচকে হার মানাবে। একমাত্র ভারতীয় কোচ হিসেবে দু-দুটো আন্তর্জাতিক ট্রফি, পর পর দুবার জাতীয় লীগ কত জন কোচ এর আছে। এ ছাড়া প্রথম বাঙালি কোচ হিসেবে আই লীগ জয়, ফুটবলার সুরেশ, ভাইচুং কে নবজন্ম দেওয়া, ষষ্টি দুলে ,দীপঙ্কর রায় কে তৈরি করা আর অনেক কিছু।সেই সুভাষ ভৌমিক আজ চলে গেলেন। ভাল থাকবেন Sir। আপনাকে ভুলবো না।

Friday, January 21, 2022

পায়ে পায়ে পুরানো কলকাতা

 পুরানো কলকাতার প্রতি আমার একটা অদ্ভুত নেশা আছে। যদিও আমি মনে করি এই নেশার জন্য অনেকাংশে দায়ী স্বনামধন্য লেখক শ্রীপান্থ। কি দরকার ছিল মশাই "কলকাতা" বইটা ওইরকম ভাবে লেখার?? একেবারে কলকাতার নেশা ধরিয়ে তবে ছাড়লেন!! কিছুদিন আগে স্কুলের অন্যতম প্রিয় বন্ধু অনির্বাণ (কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকে এখন) যখন বললো "কলকাতা এসেছি.... চল একদিন বেরোই" তখন একটা প্ল্যান করে ফেললাম যাতে ঘোরাও হবে আবার পুরোনো কলকাতাকে কাছ থেকে দেখাও হবে। দুই বাল্যবন্ধু মিলে প্ল্যান করলাম ২রা জানুয়ারি বেরোবো। সঙ্গে যোগ দিল আমার বেটার হাফ মিতা। ঠিক করলাম ভিড় এড়িয়ে ঘুরবো। আর পুরোনো কলকাতার খোঁজেই যখন বেরোলাম তখন দুপুরের পেট পুজো কোনও পাইস হোটেলে সেরে নেবো। তারপর পায়ে হেঁটে একটু এদিক সেদিক। 


প্ল্যান অনুযায়ী শুরু করলাম জানবাজারের "সিদ্ধেশ্বরী আশ্রমে" পেট পুজো করে। কলকাতার এই পাইস হোটেলের জনপ্রিয়তা সর্বজনবিদিত। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম। তারপর থেকে প্রায় ১০০ বছরের কাছকাছি সময় ধরে সুনামের সঙ্গে খাবার পরিবেশন করছে এই হোটেল! অধুনা "বেঙ্গলি কুইজিন" হোটেল গুলোর মতো অ্যাম্বিয়েন্স এখানে পাবেন না। এই পাইস হোটেলে যেটা পাবেন সেটাই সবথেকে দরকারি..... সুস্বাদু খাবার! যাই হোক.... ভাত, ডাল, আলুভাজা, পোস্তর বড়া, সীম সর্ষে, দু রকমের মাছের ঝাল, মটন কষা আর চাটনি দিয়ে দুপুরের পেটপুজো সেরে ফেললাম। ভাবছেন এতো কিছু সাঁটিয়ে দিলাম কিভাবে? তা একটু পেটুক বটে আমরা 😁😁। অতঃপর? আরে বাবা বাঙালি তো.... এতকিছু খেলাম আর প্রাণটা এট্টু মিষ্টি পান মিষ্টি পান করবে না তা আবার হয় নাকি?? তাই আমিনিয়ার পাশে "তাজমহল পান শপ" থেকে মিষ্টি পান খেয়ে ফেললাম। দোকানদার মনিরুদ্দিন মিয়াঁ আবার মহম্মদ রফি সাহেবের একনিষ্ঠ ভক্ত! দোকান সাজানো রফি সাহেবের ছবি দিয়ে আর দোকানে বাজছে রফি সাহেবের গান! এহেন মানুষের দোকানের মিষ্টি পান খাসা বৈকি! অবশ্য পান খাবার আগে রানি রাসমণির বাড়ি দেখে নিয়েছি।


পেট পুজো পর্ব শেষে হাঁটা এগোলাম পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এখানে জরুরি কাজের জন্য মিতা আমাদের সঙ্গ ত্যাগ করে ফিরে গেলো। তারপর এসপ্ল্যানেড মোড় থেকে বাস ধরে চললাম পরবর্তী গন্তব্য "মেটক্যাফ হল" এর দিকে। স্ট্র্যান্ড রোডের ওপর মিলেনিয়াম পার্কের ঠিক উল্টো দিকেই দেখতে পাবেন ১৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো বিল্ডিং মেটক্যাফ হল। ১৮৪০ থেকে ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত এই বিল্ডিংটির নামকরণ তৎকালীন গভর্নর জেনারেল চার্লস মেটক্যাফের নামে করা হয়। অনেকেই জানেন না এটি বর্তমানে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ্ ইন্ডিয়া দ্বারা পরিচালিত একটি মিউজিয়াম এবং এর বিশেষত্ব হচ্ছে পুরো মিউজিয়ামটি কলকাতার ওপর! কলকাতার জন্মলগ্নের অয়েল পেন্টিং, ফোটোগ্রাফ, সংস্কৃতি, সিনেমা, উৎসব প্রভৃতি জিনিষ নিয়ে সাজানো অভিনব এক মিউজিয়াম! ঢুকতে টিকিট বাবদ ২৫ টাকা লাগে। ভেতরে ছবি তোলা যায়। আমার তো দারুণ লাগলো। উল্টোদিকের মিলেনিয়াম পার্কের হৈ হট্টগোলের সম্পূর্ন বিপরীত চিত্র পাবেন এখানে। গুটিকয় কলকাতা প্রেমী ছাড়া খুব একটা কারুর দেখা এখানে পাবেন না!


মেটক্যাফ হল দেখে কিরণ শঙ্কর রয় রোড ধরে এগিয়ে চললাম.... পরের গন্তব্য রাজ ভবনের উল্টোদিকে অবস্থিত "সেন্ট জনস্ চার্চ"। ১৭৮৪ থেকে ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত এই গির্জা কলকাতার তৃতীয় সবথেকে প্রাচীন গির্জা। শোভাবাজারের রাজা নবকৃষ্ণ দেবের দান করা জায়গায় তৈরী হয় এই গির্জা। তৎকালীন সময়ে একে "পাথুরে গির্জা" নামেও জানা যেত। ১৮৪৭ সাল নাগাদ সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল নির্মিত হলে এর গুরুত্ব কিছুটা কমে যায়। চার্চ ছাড়াও এখানে আরও কয়েকটি আকর্ষণ আছে। তার মধ্যে একটি নিঃসন্দেহে জোব চর্ণকের সমাধী। এছাড়াও দেখতে পাবেন দ্বিতীয় রোহিলা যুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, "বেগম" জনসনের সমাধী, লেডি ক্যানিংয়ের সমাধী, কুখ্যাত হলওয়েল মনুমেন্ট ইত্যাদি। চার্চ কম্পাউন্ডের ভিতরের পরিবেশ একেবারে শান্ত তাই জায়গাটিও ভালো লাগতে বাধ্য! এখানে প্রবেশমূল্য ১০ টাকা।


হলওয়েল মনুমেন্ট দেখার পর ইচ্ছে হলো একবার পুরোনো ফোর্ট উইলয়াম চত্বর থেকে ঘুরে আসি। তাই হাঁটা মারলাম বিবাদিবাগের দিকে। ভাবছেন হয়ত ফোর্ট উইলিয়াম তো সম্পূর্ন উল্টোদিকে তবে বিবাদিবাগের দিকে গেলাম কেন? আসলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির তৈরী প্রথম ফোর্ট উইলিয়াম এখানেই ছিল। ১৭৫৬ সালে সিরাজ-উদ-দৌলার ফৌজ যখন কলকাতা দখল করে তখন সেই যুদ্ধে পুরোনো ফোর্ট উইলিয়াম প্রায় ধুলোয় মিশে গেছিলো! সেবার সিরাজ কলকাতার নাম পাল্টে "আলিনগর" করে দিয়েছিল! আর সেই সময় এখানেই নাকি ঘটেছিল কলকাতার ইতিহাসের সেই বিতর্কিত অধ্যায় "ব্ল্যাক হোল ট্র্যাজেডি" বা "অন্ধকূপ হত্যা। হলওয়েল মনুমেন্ট সেই ঘটনার স্মৃতির উদ্দেশ্যেই তৈরী! পরে লর্ড ক্লাইভের তত্বাবধানে ১৭৫৮ সালে বর্তমান ফোর্ট উইলিয়াম তৈরীর কাজ শুরু হয়। শেষ হয় থেকে ১৭৮১ সালে। এখন সেই পুরোনো দুর্গের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে দুটি হেরিটেজ বিল্ডিং.... একটি ফেয়ারলি প্লেস এবং অপরটি GPO! এতগুলো বছর পরে সেই পুরোনো দুর্গের চিহ্ণ খোঁজাটা অসম্ভব। তবে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের দিকে GPOর শেষ মাথায় একটি ফলক বসানো আছে! প্রথম ফোর্ট উইলিয়ামের সীমা নির্ধারণ করা আছে ফলকটিতে। নীচে সিঁড়িতে ব্রাস লাইন আছে যেটা দিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের সীমানা বোঝানো হয়েছে.... যদিও এখন সেই ব্রাস লাইন অনেকটাই অস্পষ্ট। সত্যি বলতে হঠাৎ দেখলে কেউ এই জায়গার গুরুত্ব বুঝবে না.... তবে যারা আমার মত পুরোনো কলকাতার নেশায় পাগল.... তাদের কাছে এই জায়গা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ন!


পুরোনো ফোর্ট উইলিয়ামের অবশিষ্ট সীমানা দর্শন করে দুই বন্ধু মিলে গল্প করতে করতে বাড়ির পথ ধরলাম। মহানগর কলকাতার ব্যাপ্তির তুলনায় আমাদের এই ঘোরা নেহাতই নগন্য। তবে কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুরোনো কলকাতাকে কাছ থেকে দেখার নেশায় যে আবারও বেড়িয়ে পড়বো সেটা বলাই বাহুল্য!!



রহস্যময় ঊনোকোটি

করোনার জ্বালায় আপামোর ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির প্রাণ ওষ্ঠাগত! কেউ কেউ সাহস করে বেড়িয়ে পড়লেও অনেকেই কিন্তু এখনও সেই সাহস জোগাড় করে উঠতে পারেননি। আমার কথাই ধরুন না.... সেই কবে থেকে চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় রয়েছি কবে বেড়াতে যাবো.... কিন্তু করোনা যেনো যেতেই চায় না.... অগত্যা স্মৃতিচারণ ভরসা।

আজ বলবো ঊনকোটির গল্প। ইন্টারনেটের দৌলতে অনেকেই ঊনকোটির নাম শুনে ফেলেছেন। অনেকেই ঘুরেও এসেছেন হয়তো। তা এই পোস্টের মাধ্যমে যাঁরা ঘুরে এসেছেন তাঁদের স্মৃতিচারণ হয়ে যাবে আর যাঁরা গিয়ে উঠতে পারেননি তাঁদের মানসভ্রমন হয়ে যাবে। উত্তর পূর্ব ভারতের ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা। রাজধানী শহর আগরতলা থেকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে অবস্থিত পাহাড় জঙ্গলে আবৃত রহস্যময় স্থান ঊনকোটি। যাঁরা ঐতিহাসিক এবং রহস্যময় জায়গা পছন্দ করেন তাঁদের জন্য যাকে বলে "ড্রিম ডেস্টিনেশন" একদম! 

"ঊনকোটি" কথাটির অর্থ এক কোটির চেয়ে এক কম.... অর্থাৎ ৯৯,৯৯,৯৯৯! বিভিন্ন প্রচলিত মতবাদ এবং কাহিনী অনুসারে ৯৯,৯৯,৯৯৯ দেব দেবীর স্থান এই ঊনকোটি! ত্রিপুরার উত্তর ভাগে কইলাশহর সাবডিভিশনের অন্তর্গত রঘুনন্দন পাহাড়ে অবস্থিত রহস্যময় ঊনকোটি। স্থানীয় "কক বড়ক" ভাষায় ঊনকোটির আরেক নাম "সুবরাই খুং"। এখানে গোটা পাহাড় জুড়ে খোদাই করা আছে বিভিন্ন দেব দেবীর আবক্ষ মূর্তি বা "বাস রিলিফ" (Bas relief)। আনুমানিক সপ্তম থেকে নবম খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয় ঊনকোটির স্থাপত্যগুলি। কারও কারও মতে এগুলি আরও পুরোনো।

স্থানীয় লোক কথা মানলে ঊনকোটির ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের পুরাণের নিবিড় যোগ আছে। ঊনকোটি নিয়ে একাধিক কাহিনী প্রচলিত আছে। তার মধ্যে থেকে সর্বাধিক জনপ্রিয় দুটি কাহিনী ছোট্ট করে বলেই ফেলি। কথিত আছে যে একবার ভগবান শিবের সঙ্গে ৯৯,৯৯,৯৯৯ দেবতারা কৈলাশ যাত্রা করছিলেন (কারও মতে জায়গাটি কাশি)। যাত্রা পথে প্রচণ্ড ক্লান্ত দেবতারা শিবকে অনুরোধ করেন বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। শিব রাজি হয়ে যান কিন্তু শর্ত দেন যে সকাল হওয়া মাত্রই যাত্রা আরম্ভ করতে হবে। সেই মতো সব দেবতারা ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল হতেই শিব সবার আগে উঠে পড়েন এবং দেখেন বাকিরা তখনও ঘুমিয়ে। ব্যাস... রাগে তিনি বাকিদের অভিশাপ দেন যে এই জায়গাতেই সবাই পাথর হয়ে থেকে যাবেন! সৃষ্টি হয় ঊনকোটির।

আরেকটি কাহিনী অনুযায়ী এই জায়গায় বাস করতেন কালু নামে এক কুমার। অসাধারণ মূর্তি বানাতেন তিনি। সেই সঙ্গে একনিষ্ট শিব ভক্ত ছিলেন কালু। একবার শিব এবং পার্বতী কৈলাশ যাওয়ার পথে এই জায়গায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময় কালু কুমোর শিবকে অনুরোধ করেন তাঁকেও সঙ্গে নিয়ে যেতে। শিব রাজি হন কিন্তু শর্ত দেন ভোর হওয়ার আগেই এক কোটি দেবদেবীর মূর্তি তৈরী করতে হবে কালুকে। সারা রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেও ঊনকোটি মূর্তি তৈরি করতে সক্ষম হন কালু। শর্ত অনুযায়ী শিবের সঙ্গে যাওয়া হয়ে ওঠেনা কালুর। সৃষ্টি হয় ঊনকোটির!

গল্পগুলি থেকেই আভাস পাওয়া যায় জায়গাটি মূলত শৈব তীর্থ। শিব ছাড়াও এখানে দেখতে পাবেন দুর্গা, বিষ্ণু, নন্দি, হনুমান প্রভৃতি দেবদেবীর মূর্তি। প্রায় ৩০ ফুট লম্বা "ঊনকোটিস্বর কলভৈরব" মূর্তিটি নিঃসন্দেহে এখনকার মূল আকর্ষণ! ছোট ছোট টিলা পাহাড় এবং জঙ্গলে ঘেরা প্রাচীন এই স্থাপত্যশৈলীগুলি আপনাকে অবাক করতে বাধ্য! স্থানীয়দের মতে আশেপাশের পাহাড়গুলোতে আরও অনেক মূর্তি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যার অধিকাংশই অনাবিষ্কৃত। বর্তমানে জায়গাটির রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব A.S.I এর। সম্প্রতি UNESCO জায়গাটিকে World Heritage Site এর স্বীকৃতি দিয়েছে! 

আমি ঊনকোটি গিয়েছিলাম ২০১৪ সালে। সেই সময়ের তুলনায় এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। আগরতলা থেকে ট্রেন, বাস এবং প্রাইভেট গাড়িতেও পৌঁছে যেতে পারবেন ঊনকোটি। যাঁরা রাতে থাকবার প্ল্যান করে যাবেন তাঁরা কৈলাশহর চলে যেতে পারেন। এখানে থাকবার হোটেল আছে। সবমিলিয়ে অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা ঊনকোটি ভ্রমণ! না গেলে জানতেই পারতাম না পাহাড় জঙ্গলের মাঝে কত রহস্য নিয়ে অবস্থান করছে ঊনকোটি! যাঁরা এখনও যাননি তাঁরা এই করোনার ঝামেলা মিটলে ঘুরেই আসুন ঊনকোটি থেকে। যাঁরা ইতিমধ্যেই ঘুরে এসেছেন কমেন্ট বক্সে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন।

সবাই সুস্থ থাকুন.... ভালো থাকুন! 🙏